এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া শহরের প্রতিটি মার্কেটে আসন্ন রোজার ঈদে নিরাপদ পরিবেশে কেনাকাটা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামরা বসাতে হবে। যাতে ঈদের সময় বেচাবিক্রি কালে মার্কেটে ঢুকে কোন ধরণের চক্র অপরাধ কর্মকান্ড সংগঠিত করতে না পারে। পাশাপাশি নারী ক্রেতারা যাতে নিবিঘেœ মার্কেটে ঘুরে ঘুরে পন্য কিনতে পারে। তারপরও কেউ মার্কেটের ভেতরে ঢুকে কোন ধরণের ঘটনা করে থাকলে সিসি ক্যামরায় ধারণকৃত ফুজেট সংগ্রহ করে ওই অপরাধীদের সহজে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। বিষয়টি নিরাপত্তার জন্য ভালো উদ্যোগ জানিয়ে অবিলম্বে প্রতিটি মার্কেটের ভেতরে-বাইরে সিসি ক্যামরা স্থাপনের জন্য মার্কেট মালিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মাহে রমজান মাস ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজার মনিটরিং ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার সংক্রান্ত চকরিয়া পৌরসভার সম্মেলনকক্ষে মার্কেট মালিক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, পেশাজীবি প্রতিনিধি ও সুধী সমাজের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন পৌরসভা কতৃপক্ষ।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া থানার ওসি মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, ওসি তদন্ত মো.ইয়াসির আরাফাত, পৌরসভার সচিব মাস-উদ মোর্মেদ, প্যানেল মেয়র বশিরুল আইয়ুব, প্যানেল মেয়র (দুই) আলহাজ মকছুদুল মধু, পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম, ৪নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাফর আলম কালু, ৬নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াবুল হক, ৭নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, ৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুজিবুল হক মুজিব, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রাশেদা বেগম ও আঞ্জুমান আরা বেগম।
এছাড়াও সভায় মার্কেট মালিক আনোয়ারুল এহেছান চৌধুরী বুলু, চিরিঙ্গা কাচাবাজার মার্কেট মালিক মুজিবুল হক মনু, আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্স মালিক আলহাজ আনোয়ার হোসেন, চকরিয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু তপন কান্তি দাশ, চকরিয়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রেজাউল হক সওদাগর, চকরিয়া বিমানবন্দর রোড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম নুরুস শফি প্রমুখসহ চকরিয়া পৌরসভার সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ইউএনও শিবলী নোমান বলেন, রমজান মাসে সকল কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্যের দোকান ও মাছ মাংসের দোকানে মুল্য তালিকা থাকতে হবে। পন্য বিক্রিতে ডিজিটাল পরিমাপ যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। ওজনে কারচুপি ও নিন্মমানের পন্য বিক্রি করা যাবেনা। ভোক্তা সাধারণ যাতে প্রতারণার শিকার না হয় সেইজন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করতে হবে। তিনি বলেন, কোন ধরণের অনিয়মের খবর পেলে তাৎক্ষনিক উপজেলা প্রশাসন অথবা পৌরসভা কর্তপক্ষকে জানাতে হবে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে দোকানীকে অর্থ জরিমানা ছাড়াও জেলে যেতে হবে।
সভায় চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, চকরিয়া উপজেলা সদরে অন্তত ২০টির মতো বিপনী বিতান রয়েছে। কিন্তু একটিতেও কোন ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। গ্রাহকদের স্যানিটেশন সেবা নিশ্চিতে নেই কোন সুবিধা। তাই এসব ব্যাপারে মার্কেট মালিকদেরকে উদ্যোগ নিতে হবে। মার্কেটের ভেতরে যাতে কোন ধরণের অপরাধ ঘটনা না ঘটে সেইজন্য সকল মার্কেটে সিসি ক্যামরা বসাতে হবে। মার্কেটে আগত ক্রেতাদের জন্য স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি ঘোষনা দেন পৌরসভার পক্ষ থেকে চকরিয়া শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে রমজানের পর সর্বশ্রেণীর সুবিধার জন্য পাবলিক টয়লেট তৈরী করা হবে। এইজন্য জায়গা দেয়ার জন্য মেয়র আলমগীর চৌধুরী সকল মালিকদেরকে আহবান জানান। #
পাঠকের মতামত: